Thyroid Symptoms in Female | থাইরয়েড কি কারনে হয়
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন আপনারা , আশা করি অনেক ভালো আছেন সবাই আল্লাহ রহমতে, ইতিমধ্যে আপনারা বুঝে গেসেন বা টাইটেল এর ওপরে ক্লিক করে থাইরয়েড কি সেটা সম্পর্কে জানার জন্য অধীর অগ্রণীয়া এই পোস্ট টিতে এসেছেন , হে আজকে আমি আপনারদের কে থাইরয়েড সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো এন্ড কিভাবে থাইরয়েড কে নিয়ন্ত্রণ করবেন সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো, আপনারদের অনেকে গুগল সার্চ করে থাকেন থাইরয়েড কি,থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়, থাইরয়েড কি কারনে হয়, থাইরয়েড নরমাল কত, থাইরয়েড কি খেলে ভালো হয়, থাইরয়েড কমানোর উপায়, থাইরয়েড কি ভালো হয়, মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ, থাইরয়েড রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, খুজতেছে তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্য , তাহলে দেরি না করে এখন পুরো পোস্টটি পরে অবশই কমেন্ট করে যাবেন।
পোস্টটি যে বিষয়ের উপর লেখা হয়েছে সেই বিষয়ের সূচিপত্র
১। থাইরয়েড কি?
২। থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়
৩। থাইরয়েড কি কারনে হয়
৪। থাইরয়েড নরমাল কত
৫। থাইরয়েড কি খেলে ভালো হয়
৬। থাইরয়েড কমানোর উপায়
৭। থাইরয়েড কি ভালো হয়
৮। থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না
৯। মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ
১০। থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়
১১। পুরুষের থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়
১২। থাইরয়েড কি খেলে ভালো হয়
১৩। থাইরয়েড বেশি হলে কি হয়
১৪। থাইরয়েড রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
থাইরয়েড কি?
থাইরয়েড হল একটি ছোট, প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি যা গলার মাঝখানে, ভয়েস বক্সের নীচে এবং বায়ুনালী (শ্বাসনালী) ঘিরে থাকে। এটি একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোন তৈরি করে শরীরের প্রায় সব বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের হৃদরোগ | Heart Disease in Kids
যেমন: পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা, মানুষের শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বৃদ্ধি বিকাশ ইত্যাদি। তাছাড়া থাইরয়েড হরমোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল নিউরাল পরিপক্কতা অর্জন করা। যে কারণে গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড হরমোনের অভাবে গর্ভের শিশু বুদ্ধিমান হয় না। অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়
যে সকল বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলি থাইরয়েড হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয় সেগুলি হলো :
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে মৌল বিপাকীয় হার পাই।
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে হৃদস্পন্দনের হার।
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে শরীরের ওজন।
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে কোলেস্টেরল-এর মাত্রা।
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে পেশীর বল দুর্বলতা।
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে শারীরিক তাপমাত্রা।
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে উদ্বেগ, বিরক্তি এবং স্নায়ুদৌর্বল্য অনুভব করা।
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে ঘুমাতে সমস্যা হওয়া।
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে ওজন কমে যাওয়া।
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে বৃদ্ধি পাওয়া থাইরয়েড গ্রন্থি অথবা গলগন্ড।
- থাইরয়েড সমস্যার কারনে পেশী দুর্বলতা এবং কম্পন থাকা।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের অভিজ্ঞতা বা আপনার মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- তাপের প্রতি সংবেদনশীল বোধ করা।
- দৃষ্টি সমস্যা বা চোখের জ্বালা।
থাইরয়েড কি কারনে হয় । থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ কি?
এই সমস্যা কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। অত্যধিক আয়োডিন: যখন আপনার শরীরে খুব বেশি আয়োডিন থাকে (থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে ব্যবহৃত একটি খনিজ), থাইরয়েড গ্রন্থি তার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে। কিছু ওষুধ এবং কাশির সিরাপে অত্যধিক আয়োডিন পাওয়া যায়।
থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ হল হরমোন তৈরি করা। এটি প্রধানত দুই ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে।
১। ট্রাই-আয়োডোথাইরোনিন (T3)
২। থাইরক্সিন (T4)
মানবদেহে এই থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ সঠিক মাত্রায় না হলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে এই সমস্যাটিকে হাইপোথাইরয়েডিজম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে, অতিরিক্ত উৎপাদন হাইপারথাইরয়েডিজম নামে পরিচিত।
হাইপোথাইরয়েডিজম
মানবদেহে থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম উৎপন্ন হলে এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও কম হরমোন নিঃসরণের কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে, তবে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা আপনি লক্ষ্য করতে পারেন যখন আপনি লক্ষ্য করেন যে আপনার থাইরয়েড হাইপোথাইরয়েডিজমে সমস্যা হয়েছে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- ত্বকের রুক্ষতা
- ঠাণ্ডা লাগছে
- ক্লান্তি আর অবসাদ
- মন ভুলো
- অমনোযোগী
- বিষন্নতা
- পালস রেট স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাওয়া
- পেশী এবং বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা
- মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।
তাই হঠাৎ করে যদি কারো শরীরে এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়, তাহলে বুঝতে হবে তার শরীরে থাইরয়েডের রোগ বসতি স্থাপন করেছে।
আবার হাইপোথ্যালামাস থাইরয়েড রিলিজিং হরমোন নামে একটি হরমোন নিঃসরণ করে। এই TRH হরমোনের কাজ হল থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন নামক হরমোন নিঃসরণ করার জন্য পিটুইটারি গ্রন্থিকে সংকেত দেওয়া। সংক্ষেপে, হাইপোথ্যালামাস পিটুইটারি গ্রন্থি এবং থাইরয়েড গ্রন্থি একসঙ্গে হরমোন তৈরি করতে কাজ করে। সুতরাং যখন তাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয় অর্থাৎ যখন তাদের কার্যকারিতা ব্যাহত হয় তখন হাইপারথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দেয়।
এই ক্ষেত্রে, লক্ষণগুলি দেখা যায়:
- হজম হয় সমস্যা হয়।
- অসহ্য গরমের অনুভূতি।
- অত্যাধিক ঘামা।
- অস্থিরতা।
- দ্রুত ওজন হ্রাস।
- অনিয়মিত ঘুম।
- বর্ধিত পালস।
- উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা বৃদ্ধি।
- চুল পড়া এবং ভঙ্গুরতা।
- ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া।
- মহিলাদের মাসিক অনিয়মিত এবং স্বল্প রক্তপাত।
- বর্ধিত হৃদস্পন্দন।
আর যদি থাইরয়েড গ্রন্থি সুস্থ থাকে এবং সঠিক পরিমাণে হরমোন নিঃসৃত হয়, তাহলে শরীরে কোনো সমস্যা হয় না অর্থাৎ উল্লেখিত লক্ষণগুলোর কোনোটিই দেখা দেবে না। এক কথায়, থাইরয়েডের কাজ হল শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণ করা, যা শরীরের কার্যাবলী পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ করে।
থাইরয়েড নরমাল কত। How much is thyroid normal
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী থাইরয়েড নরমাল ধরা হয়। .৪ থেকে .৫ পর্যন্ত কিন্তু কিছু বিষয়ের ওপরে বিবেচনা করে এন্ড মিনিস্টাটিন এন্ড প্রেগনেন্সি প্রব্লেম এর জন্য থাইরয়েড রুগীদের কে সাধারণত .১০ পর্যন্ত ওষুধ দেয়া হয়না। তবে আপনারা কখনো এই পোস্ট এর ওপরে বিবেচনা করে। সিন্ধান্ত নিবেন না। নিকোত্তর ডাক্তারের পরামর্শ নিন এটা সচেনতন মূলক পোস্ট।
থাইরয়েড কি খাবার ভালো হয় । থাইরয়েডের জন্য কোন খাবার ভালো
কাজু, বাদাম এবং সূর্যমুখীর বীজে সর্বাধিক পরিমাণে তামা থাকে এবং সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। খাবারে ভিটামিনের পাশাপাশি খনিজ সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী। এক্ষেত্রে পনির, কাঁচা মরিচ, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, মাশরুম যথেষ্ট ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে। থাইরয়েড কি খাবার ভালো হয় এই খাবার গুলো বেশি করে খাবেন তাহলে নিয়ন্ত্রণ থাইরয়েড থাকবে
থাইরয়েড কমানোর উপায় | থাইরয়েড রোগের প্রতিকার
আয়োডিন : আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার হলো ডিম, পনির, লবণ এবং দুধ। আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি সতর্ক থাকুন। এটি হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে হাইপো এবং হাইপার-থাইরয়েডিজম উভয়েরই ক্ষতি করতে পারে।
সেলেনিয়াম : সমৃদ্ধ খাবার হল- টুনা, মুরগি, ওটমিল, বাদামি চাল, ডিম। এগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ এবং থাইরয়েড হরমোনের সংশ্লেষণে ভূমিকা রাখে। আর এটা প্রাকৃতিকভাবেইই থাইরয়েড কোষে পাওয়া যায়।
থাইরয়েড কমানোর উপায় ওষুধ গ্রহণের
দেহে সম্পুর্ণ শোষণের জন্য খালি পেটে থাইরয়েডের ওষুধ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। রাতের খাবার খাওয়ার কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘন্টা পর অথবা সকালের নাস্তার ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা আগে এটা খাওয়া উপকারী।
আরো পড়ুনঃ শরীর সুস্থ রাখার জন্য দুপুরের খাবারে বিস্তারিত
থাইরয়েড রোগের প্রতিকার
থাইরয়েডের সমস্যা নিরাময়ে হাজার হাজার বছর ধরে ধনে ভেজানো জল ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি একটি প্রধান চিকিৎসা। ধনেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন রয়েছে, যা থাইরয়েড নিরাময়ে কাজ করে এবং থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে |এই পোস্ট আপনার তথ্যের জন্য করা হয়েছে দয়া করে ডক্টরের সাথে পরামর্শ করুন।
থাইরয়েড ব্যাধির লক্ষণ । মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ
থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি বিভিন্ন উপসর্গ অনুভব করবেন।
- মাসিকের সমস্যা
- মানসিক বলিষ্ঠতা
- পড়াশোনায় অমনোযোগী
- বিলম্বিত বয়ঃসন্ধি
- খরবতা
- বুদ্ধি অক্ষমতা
- সন্তান ধারণে অক্ষমতা
- চুল ও ত্বকের সমস্যা
- জ্বর জ্বর অনুভব
- ক্লান্তি
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা
- গর্ভধারণের পরে গর্ভপাত
- তাপমাত্রার পরিবর্তনে অসহিষ্ণুতা
- ঘাড়ের সামনে ফোলা
- কার্ডিয়াক ছন্দের অনিয়ম
- টাকাইকার্ডিয়া মানে উচ্চ হৃদস্পন্দন
- এক্সো অপথালমোস
- ওজন বৃদ্ধি এবং হ্রাস
- নিঃশ্বাসের সমস্যা
- খাবার গিলতে অসুবিধা
- ভয়েস বিকৃতি
- মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- অত্যাধিক ঘামা
- ভ্রু পড়ে যাওয়া
- এবং মেধা শক্তির পরিবর্তন অর্থাৎ ভুলে যাওয়ার সমস্যা সহ প্রভৃতি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন