কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কাদের জন্য কোরবানি ফরজ।
জুলাই মাসের 11 তারিখে শুরু হয়েছে জিলহজ মাস। সেই মোতাবেক আগামী একুশে জুলাই হবে আমাদের পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ। আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে কুরবানী সম্পর্কে নানান খুঁটিনাটি বিষয় শেয়ার করব। প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি কুরবানী সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমার এই আজকের আর্টিকেলটি ভালো করে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক । তো প্রথমেই আমরা শুরু করব কুরবানী কি সে বিষয়ে। কোরবানি কাদের উপর ফরজ।
পোস্ট এর বিষয়বস্তুর সূচিপত্র
কোরবানি কাকে বলে?
কোরবানি কাদের উপর ফরজ
কোরবানি করা কার উপর ওয়াজিব?
কোরবানির নিয়ম কি?
যারা কুরবানি দেবেন তাদের করণীয়
কত টাকা থাকলে কোরবানি ফরজ
কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে
কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
কোরবানি সম্পর্কে হাদিস
কোরবানির নিয়ম
কোরবানি অর্থ কি
কোরবানি করা ওয়াজিব
কোরবানি দাতার করণীয়
কত টাকা হলে কোরবানি ফরজ
কোরবানি কাকে বলে?
ঈদুল আযহাকে যে বিষয়গুলো সব থেকে বেশি সার্থক সুন্দর এবং আলোকোজ্জ্বল করে তোলে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো কোরবানি। কোরবানি একটি আরবি শব্দ। আর এই কোরবানির বাংলা অর্থ হলো নৈকট্য অর্জন করা, কাছে আশা, পুন্য। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় যে কাজের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করতে পারে তাকে কোরবানি বলা হয়ে থাকে। কোরবানি কাদের উপর ফরজ।
কোরবানি কাদের উপর ফরজ
প্রথম কথাটি হ'ল আলেমদের মধ্যে কেউ বক্তব্য দেননি। এ বিষয়টি নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে যে কোরবানি সুন্নত বা ফরয কিনা। একদল উলামা বলেছেন যে কোরবানি সুন্নত, কোরবানি হলেন সুন্নত মুয়াক্কাদা। এটি বেশিরভাগ আলেমের বক্তব্য। আর একদল উলামায়ে কেরাম বলেছিলেন যে কোরবানি ওয়াজিব। মুষ্টিমেয় ৩ থেকে ৪ জন উলামা ব্যতীত কেউ কোরবানি ওয়াজিব করেনি। শরিয়তে যাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব তারা হ'ল মুসলমান হওয়া, বিবেকবান মানুষ হওয়া, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। এর সাথে আরও একটি শর্ত যুক্ত হবে যে, যে ব্যক্তি সেদিন কোরবানির পশু জবাই করতে সক্ষম হয়, সেই ব্যক্তির উপর কোরবানি করার জন্য সুন্নাহ মুআক্কাদা। বেশিরভাগ উলামায়ে কেরাম এটাই বলেন।
আরো জানুনঃহার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় |
যে সমস্ত ওলামায়ে কেরামগণ কোরবানিকে ওয়াজিব বলেছেন তারা দুইটা কঠিন সত্য সাথে যোগ করে দিয়েছেন। একটি হ'ল সেই ব্যক্তির অবশ্যই নেসাব পরিমাণে সম্পদ থাকতে হবে, যার উপর যাকাত ফরয। দ্বিতীয়টি হ'ল তিনি ভ্রমণকারী হতে পারবেন না। এই দুটি শর্তে কোরবানি ওয়াজিব। যদি কেউ এই দুটি শর্তের একটিও পূরণ করতে না পারে তবে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না। তবে এটা স্পষ্ট যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াজিবের দলিল যে হাদিস দিয়েছিলেন তা হল নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'তোমাদের মধ্যে যে সক্ষম, সে হোক তাকে কোরবানি দাও। '
অন্য আরেকটি রেওয়াতের মাঝে এসেছে যে যদি কেউ সামর্থ্য থাকার পরেও কোরবানি না করে তাহলে সে যেন আমাদের ঈদগাহ ময়দানে না আসে। আর হাদিসটা দিয়ে কোরবানিকে ওয়াজিবের দলিল দেওয়া হয়েছে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে নেসাব পরিমাণ সম্পদের কথা একদমই বলেননি এটি না থাকলেও চলবে। আর যদি আপনার ব্যাংকে কোরবানি দেওয়ার মতো আপনার টাকা থাকে তাহলে আপনি কোরবানি দিতে পারবেন । কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ।
কোরবানি করা কার উপর ওয়াজিব?
.
কোন ব্যক্তির উপরে কোরবানি ওয়াজিব হওয়া বা সুন্দর হওয়ার জন্য অবশ্যই সেই কোরবানি কারী ব্যক্তি কে ধনী হওয়ার শর্ত রয়েছে। অর্থাৎ যিনি কোরবানি দেবেন তিনি যদি তার সংসারের খরচ পাতি এবং তার সংসারের সমস্ত খরচ চালিয়ে তার কাছে কোরবানি দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ থাকে তাহলে সে সেই অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে কোরবানি দিতে পারে তাহলে সেই ব্যক্তির উপরে কোরবানি দেওয়ার শরীয় বিধান রয়েছে। কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ।
আরো জানুনঃ স্বাস্থ্য বিষয়ক অজানা তথ্য।
প্রতিটি পরিবারের পক্ষ থেকে ত্যাগের বিধান রয়েছে। তার প্রমাণ হল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন প্রত্যেক পরিবারের প্রতিবছর একটি কোরবানি করা ওয়াজিব। (মুসনাদে আহমাদ ২০২০৭) । আরে বিধানে কোরবানি দেওয়ার জন্য নারী-পুরুষের কোনো রকম কোনো ভেদাভেদ নেই। তার মানে হল যদি কোন মহিলা একা একা বসবাস করেন অথবা তার কোনো স্বামী সন্তান না থাকে তাহলেও সে কোরবানি করতে পারবে।
কোরবানির নিয়ম কি?
পবিত্র কোরআনে কোরবানি ইতিহাস সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। বলিদানের নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য রয়েছে। এ কারণে কোরবানির মাসআলা অনুসারে কোরবানি যদি সঠিকভাবে না করা হয় তবে তা কেবল পশু দ্বারা জবাই করা হবে, লক্ষ্য পূরণ হবে না। যে ব্যক্তি ত্যাগ স্বীকার করে তাদের প্রত্যেককে পশু কোরবানির বিধি ও বিধিগুলি জানতে হবে। অন্যথায় কোরবানি আল্লাহ কবুল করবেন না। কুরবানীর পশু কেমন হবে? আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন থেকে ভালভাবে কুরবানী মাসআলা জানতে পারবেন। কোরবানি কাদের উপর ফরজ।
যারা কুরবানি দেবেন তাদের করণীয়
যারা কুরবানী করবে তাদেরকে জিলহজ মাস আসার আগে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো হলোঃ হাত ও পায়ের নখ কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। যদি কোন পুরুষ কোরবানি দিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তাকে চুল এবং নাভির নিচের পশম কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। এর কারণ হলো যখন থেকে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায় যিনি কোরবানি দেবেন তাকে কোরবানি দেওয়ার আগ পর্যন্ত চুল, দাড়ি গোফ ইত্যাদি না কাটার সুন্নত। কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ।
আরো জানুনঃ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ‘যখন জিলহজের দশ দিন আসে এবং তোমাদের মধ্যে কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে; তারপরে তার চুল এবং ত্বকের কোনও অংশ কাটা উচিত নয়। যদি কারও কারও নখ এবং চুল কাটা দরকার হয় তবে এটি মাসের শেষ দিনের সন্ধ্যার আগে এটি পরিষ্কার করা জরুরী।যারা কোরবানি করবেন তাদের জন্য উল্লিখিত সময়টিকে ফোকাহায় কেরাম মুস্তাহাব বলা হয়। আপনি যদি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত আপনার নখ এবং চুল কাটা না করেন তবে এটি আরও দীর্ঘ হতে পারে। যা সুন্নতের পরিপন্থী। কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ।
কত টাকা থাকলে কোরবানি ফরজ
কোরবানি হল এমন একটা জিনিষ যেটার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে। কুরবানী হলো একটি আত্মিক এবং আর্থিক ইবাদত। কারো যদি নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদ বা টাকা থাকে তাহলে সে এক নিষ্ঠ নিয়তে কোরবানি দিতে পারে। কিন্তু তার আগে আমাদের জানতে হবে যে কি পরিমাণ টাকা বা সম্পদ থাকলে কুরবানী দেওয়া আবশ্যক। বন্ধুরা চলুন আমরা জানি কি পরিমাণ অর্থ বা টাকা থাকলে কোরবানি দেওয়া জরুরী।
আরো জানুনঃ শিশুর প্রস্রাবে ইনফেকশন এর কারণ
একজন মানুষকে কোরবানি দিতে হলে তাকে অবশ্যই তার কাছে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা এর সমমূল্য অর্থ কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা তার সমমূল্য সম্পদ থাকতে হবে। আর একজন মানুষের উপরে কোরবানি আবশ্যক হওয়ার জন্য এই পরিমাণ সম্পদ বা টাকা তার কাছে এক বছর থাকতে হবে এমন কোন শর্ত প্রযোজ্য নয়। কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ। কোরবানি কাদের উপর ফরজ।
সুতরাং কোনো ব্যক্তি বা কোন পরিবারে যদি তার পরিবারের খরচ মেটানোর পরে জিলহজ্ব মাসের 10, 11 এবং 12 তারিখে নির্ধারিত পরিমাণে সোনা বা রুপা কাছে থাকে বা কোরবানি দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ সোনারূপা থাকা জরুরী সেই পরিমাণ সোনারূপার উপর সমপরিমাণ অর্থ যদি তাদের কাছে থাকে তাহলেও তার ওপরে কোরবানি ফরজ।
আমাদের শেষ কথা
তো প্রিয় বন্ধুরা আপনারা আজকে আমার এই আর্টিকেল থেকে কোরবানির বিষয়ে সমস্ত কিছু জানতে পারলেন। আশা করছি আমার এই আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক বেশি উপকারে লাগবে। যদি আমারে আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে লাগে বা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ সবাইকে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন