বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।



বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

যে সমস্ত খাবার প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকে সেই সমস্ত খাবারকে ঐতিহ্যবাহী খাবার বলা হয়ে থাকে। বাইরের সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন রাজবংশ দ্বারা বাংলাদেশের এই সমস্ত ট্রেডিশনাল বা ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো প্রভাবিত হয়েছে।  তবে বাংলাদেশে এই খাবারগুলো কে প্রস্তুত করেছে সময়ের পরিক্রমায় তার নিজস্ব পদ্ধতিতে রান্না করার মাধ্যমে যেটা মূলধারা থেকে বেশ আলাদা এবং দেখতে।  ঐতিহ্যবাহী খাবারের একটি দৃঢ় প্রভাব থাকে দীর্ঘমেয়াদি সভ্যতার ওপরে। ঐতিহ্যবাহী খাবারের ঐতিহাসিক নজির গুলোর মধ্যে আছে জাতীয় খাবার, আঞ্চলিক রন্ধনশৈলী অথবা স্থানীয় খাবারগুলো। আর এই সমস্ত ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো বাড়িতেও বানানো হয় আবার এগুলো রেস্টুরেন্টেও পাওয়া যায়। আপনারা আজকে আমার এ পোস্ট এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জানতে পারবেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

ভ্রমণপিয়াসী মানুষদের মধ্যে কখনো ভজন প্রেম থাকবে না সেটা কি মানায়। ঘোরাফেরা করবে অথচ খাওয়া-দাওয়া করব না সেটাকে কখনো হতে পারে না।  আপনি বাংলাদেশের মধ্যে যে জায়গাতেই ঘোরাফেরা করেন না কেন সেই জায়গাতে ঘোরাফেরা করার পাশাপাশি যদি সেখানকার বিখ্যাত কোন খাবারের স্বাদ গ্রহণ না করেন তাহলে কি আপনার ভ্রমণ পূর্ণতা পাবে। আমরা বাঙালিরা জন্মের শুরু থেকেই ভোজনরশিক। আমাদের সংস্কৃতিতে  বয়ে বেড়াচ্ছে এই ভজন প্রেম। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

সাড়া পৃথিবীতে যেমন বিখ্যাত সব খাবার রয়েছে তেমনি আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিতে কিন্তু বিখ্যাত খাবারের কোন কমতি নেই। বাংলাদেশের। ৬৪ জেলা মানুষের মনে আলাদা আলাদাভাবে জায়গা করে নিয়েছে তাদের নিজস্ব খাবারের জন্য। আবার এমন অনেক জেলা রয়েছে যেগুলো জেলার খাবার গুলো নিজেদের সীমানা পেরিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ছড়িয়ে পড়েছে । শুধু বাংলাদেশেই না এমন কিছু খাবার আছে আমাদের বাংলাদেশের যেগুলো অনেক বিশ্বেই চর্চা হয়ে থাকে। তাহলে বন্ধুরা চলুন আমরা জেনে নিই বাংলাদেশের কিছু বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে । বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের

পিঠা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


বাংলাদেশের পিঠা জেলাভিত্তিক বিভিন্ন রকমের এবং বিভিন্ন স্বাদের হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পিঠা প্রধানত মিষ্টি এবং ঝাল এই দুধরনের হয়ে থাকে। এমন কিছু পিঠা রয়েছে যেগুলো চিনির সিরায় অথবা দুধে ভিজিয়ে ও তৈরি করা হয় । আমার বাংলাদেশে এমন কিছু পিঠা রয়েছে যেগুলো শুধু ভাপে তৈরি করা হয় ।এছাড়াও বাংলাদেশের এমন কিছু পিঠা রয়েছে যেগুলো তেলে ভেজে বা অন্য পদ্ধতিতেও তৈরি করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সাধারণত শীতকালে পিঠার প্রচলন বেশি। পিঠা নামক এই খাবারটি সারা বাংলাদেশেই বেশ জনপ্রিয়।

বাখরখানি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার


পুরান ঢাকার বাকরখানির সুনাম সারা বাংলাদেশেই না এমনকি বাইরের দেশে রয়েছে। পুরান ঢাকার নাম গভীরভাবে এই বাকরখানির সাথে জড়িয়ে রয়েছে ।মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় যে এই রুটির নাম বাকরখানী হয়েছে জমিদার আগা বাকের খান নাম থেকে। বাকরখানী পাওয়া যায় দুই ধরনের একটি হলো মিষ্টি এবং আরেকটি হলো নোনতা। আর এই বাকরখানির তৈরি করার মূল উপাদান গুলো হল আটা অথবা ময়দা, লবণ এবং তেল । পুরান ঢাকার স্থানীয়রা তাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় এখনো এই বাখরখানি রাখেন । আর পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন পদের সঙ্গে বাকরখানী খেয়ে থাকেন তবে তারা সবথেকে যে জিনিসটা সঙ্গে বেশি বাখরখানি খেয়ে থাকেন সেটি হল দুধচা।  আপনি যদি কখনো ঢাকা বেড়াতে যান তাহলে পুরান ঢাকায় গিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাকরখানির স্বাদ নিতে কখনো ভুল করবেন না।

আরো পড়ুনঃ বৃদ্ধ বয়সের কারাগার

কালাভুনা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার


চট্টগ্রামের মানুষেরাই হলো এই মাংসের কালাভুনা নামক খাবারের উৎপত্তি এবং প্রচলনের পূর্ণ দাবিদার। চট্টগ্রাম মানেই হলো সমস্ত মাংসের কালা ভুনা অতুলনীয় স্বাদ।কালা ভুনা দেখতে যদিও কালো হয় তবে এর স্বাদ এবং গন্ধ অতুলনীয়। বিশেষ মসলা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে খাসি অথবা গরুর মাংস দিয়ে এই কালা ভুনা রেসিপি তৈরি করা হয়ে থাকে। আর আপনি চট্টগ্রামে গেলেই একমাত্র এই কালাভুনার আসল স্বাদ নিতে পারবেন। এজন্য আপনি যদি কালাভুনার আসল স্বাদ পেতে চান তাহলে আজই এক্ষুনি ব্যাগ গুছিয়ে চলে যান চট্টগ্রামে কালাভুনার আসল স্বাদ নিতে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

ভর্তা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


ভর্তা হলেও বাংলাদেশের একটা নিত্যনৈমত্তিক খাবার। ভর্তা গুলো সাধারনত ঝাল হয়ে থাকে। মাছ মাংস অথবা সবজির খোসা সবকিছু দিয়ে ভর্তা তৈরি হতে পারে। ভর্তা তৈরি করা হয় সবজি অথবা মাছ রান্না করার পর তার সাথে মরিচ , পেঁয়াজ এবং সরিষার তেল যোগ করে। ভর্তা বাংলাদেশের একটি বহুল জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী খাবার। বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যেকবার খাবার শুরু করেন ভর্তা দিয়ে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন | জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি

শুটকি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার


শুটকি হলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে একটি। বাংলাদেশের সব মানুষের কাছেই শুটকির বেশ কদর রয়েছে । বাংলাদেশে এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে যারা শুকনো মাছ বা  শুটকি মাছ পছন্দ করেননা। বাংলাদেশের সবচেয়ে মিঠা পানির মাছের শুটকি বেশি জনপ্রিয় কিন্তু সামুদ্রিক মাছের শুটকির জনপ্রিয়তাও কিন্তু কম নয়। মানুষের এই শুটকির প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় এর দাম কম এবং এই শুটকি মাছের স্বাদ তুলনাহীন একারণেই সবাই শুটকি মাছ পছন্দ করে থাকেন । শুটকি যদি ভালোভাবে কেউ রান্না করতে পারে তাহলে এর কাছে অন্যান্য মাছ-মাংস স্বাদ   হার মেনে যাবে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

ভুনা খিচুড়ি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


ভুনা খিচুড়ি হলো আমাদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে একটি । এই ভুনা খিচুড়ির দাবিদার কিন্তু গোটা বাংলাদেশের মানুষেরই। এর মানে হল কোন উৎসব বা অনুষ্ঠান লাগেনা ভুনা খিচুড়ি খেতে। আকাশ একটু মেঘলা করেছে ভুনা খিচুড়ি ছাড়া আর কখনো কোন কথাই হবে না। বিশেষ করে আমাদের দেশের মানুষ বৃষ্টির  দিনে ভুনা খিচুড়ি খেতে বেশি পছন্দ করেন। অথবা এই ভুনা খিচুড়ি খেতে সকালে অথবা রাতে অনেক মজা লাগে। এই ভুনা খিচুড়ির সাথে আমরা খাই ভুনা মাংস, ডিম ভুনা, আলু ভর্তা, বেগুন ভাজি, আলুর দম দিয়ে।

আরো পড়ুনঃ অ্যাড দেখে টাকা আয় সেরা ওয়েবসাইট

চিংড়ি মাছের মালাইকারি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


আমাদের চোখ দুটো খুশিতে এমনি এমনি বড় হয়ে যায় যখন বড় বড় চিংড়ি মাছ রান্না করে পাতে তুলে দেওয়া হয়। আর সেটা যদি হয় চিংড়ি মাছের মালাইকারি তাহলে তো আর কোন কথাই থাকে না । চিংড়ির সাথে নারকেলের যে এমন নিবিড় ভালোবাসার সম্পর্ক সেটা আপনি বুঝতে পারবেন না যদি না আপনি চিংড়ি মালাইকারি না খেয়ে থাকেন। আপনি ঘরে বসেই নারকেল এবং চিংড়ি দিয়ে তৈরি চিংড়ির মালাইকারি স্বাদ নিতে পারবেন কিন্তু আপনি যদি আসল মালাইকারি  স্বাদ নিতে চান তাহলে আপনাকে সাতক্ষীরা, বরিশাল বা উপকূলীয় জেলায় যেতে হবে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

বিরিয়ানি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


বিরিয়ানি হলো এমন একটি খাবার যেটি সব সময় সব পরিস্থিতিতে জনপ্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে। বিরিয়ানি হচ্ছে পুরান ঢাকার সবথেকে জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার। পুরান ঢাকার সবথেকে পুরনো বিরানির হোটেলটির নাম হচ্ছে হাজীর বিরিয়ানি। যেটা স্থাপিত হয়েছ্টাই ১৯৩০ সালে। বিরিয়ানি তৈরি করা হয় ভাত, মুরগি,খাসি অথবা গরুর মাংসের সাথে বিভিন্ন মসলার মিশ্রণে। বিরিয়ানি হলো এমন একটি খাবার যেটিকে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ এক ধরনের শিল্প মনে করেন। কারণ যথাযথ দক্ষতা ছাড়া বিরিয়ানি রান্না করাটা বেশ কঠিন । সবাই ঠিকঠাক মতো বিরানী রান্না করতে পারেন না। বিরিয়ানির এর উৎপত্তিস্থল নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে তবে আমাদের দেশ বাংলাদেশ তার নিজস্ব পদ্ধতিতে বিরিয়ানি রান্না করেন যেটা অন্য জায়গা থেকে অনেকটাই আলাদা।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

আরো পড়ুনঃ মার্কশীট সহ এসএসসি রেজাল্ট ২০২১

ইলিশ মাছ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


ইলিশ হল বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। এবং এই ইলিশ মাছ হলো মাছের রাজা। কারণ ইলিশ মাছ স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয়। ইলিশ মাছ আপনি যেভাবে রান্না করেন না কেন তার গন্ধ জানান দেয় যে কোথায় ইলিশ মাছ রান্না করা হচ্ছে । ইলিশ মাছ বিভিন্ন ভাবে রান্না করা যায় যেমন হলো ইলিশ পোলাও, ইলিশ ভাপা, সর্ষে  ইলিশ ইত্যাদি। আর পদ্মা নদীর ইলিশ তো পৃথিবীবিখ্যাত। প্রতিবছর পদ্মা নদীর ইলিশ বিপুল পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি করা হয় । তবে মাওয়া ফেরি ঘাটের ইলিশ ভাজা যে কখনো খাইনি তার সারা জীবনটাই যেন বৃথা হয়ে যাবে।


ফুচকা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী স্ট্রীট ফুড হলো ফুচকা। এই ছোট্ট ফুচকা নামক স্ট্রিট ফুড এর উৎপত্তিস্থল নিয়েও বেশ মতবিরোধ রয়েছে ।অনেকটা কালের বিবর্তনে ভারতের পানিপুরি আমাদের বাংলাদেশ ফুচকা নামে পরিচিতি পেয়েছে। এ ফুচকা নামক স্ট্রিট ফুড যদিও পানি পুরি থেকে বেশ অনেকটাই আলাদা। ফুচকা নামক এ স্ট্রিট ফুড ছোট পুরির মত অনেক বেশি ক্রিস্পি হয় এবং এর ভেতরের পুর হিসাবে সেদ্ধ আলু, ডাল, বিভিন্ন চাট মসলা, পেয়াজ,কাচা মরিচ, সেদ্ধ ডিম দেওয়া থাকে। এই ছোট ফুচকা স্ট্রিটফুড হিসাবে তুমুল জনপ্রিয়।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

আরো পড়ুনঃ ২০২১ সালের বাংলা রোজার ক্যালেন্ডার । 

পায়েস,ফিরনি এবং ক্ষীর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


আমাদের বাংলাদেশের জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে ক্ষীর, পায়েস এবং ফিরনি জাতীয় খাবার। এই মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো চাল, দুধ এবং চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই সমস্ত মিষ্টি জাতীয় খাবারের স্বাদের মাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটস, কেশর এবং বিভিন্ন ধরনের বাদাম যোগ করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

ব্রেড অথবা রুটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


বাংলাদেশের কমবেশি প্রায় প্রত্যেকটা মানুষই সকাল অথবা বিকেলের নাস্তায় রুটি অথবা পরোটার পছন্দ করে থাকেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় গুলোর মধ্যে রয়েছে পরোটা, লুচি, নানরুটি ইত্যাদি। আমাদের বাংলাদেশের প্রত্যেকটা হোটেলেই এই সমস্ত খাবারগুলো বিপুল পরিমাণে তৈরি করা হয় থাকে। 
মানুষ এগুলো সকালের নাস্তায় অথবা বিকেলের নাস্তায় খেতে বেশি পছন্দ করেন। এছাড়াও এই সমস্ত পরোটা, লুচি , নান রুটি ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের

আরো পড়ুনঃ ১০টি জিনিস করা উচিত নয় |

সিঙ্গারা এবং সমুচা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


বাংলাদেশের আরেকটি ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গারা এবং সমুচা যেগুলোকে স্ট্রিটফুড হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। সমুচা হলো এক ধরনের ত্রিকোণাকার স্ন্যাকস এবং এটা তেল দিয়ে ভেজে তৈরি করা হয় । বাংলাদেশের স্ট্রিটফুড হিসেবে এই সমুচা ভীষণভাবে জনপ্রিয়। আলু এবং বিভিন্ন মসলা দিয়ে তৈরি করা হয় এই সমুচা ।  আর এই সমুচা গুলো বেশ ক্রিস্পি হয়ে থাকে। আর সিঙ্গাড়া হয় একটু গোলাকার এবং একটু নরম । সমুচা এবং সিংগারার মধ্যে প্রধান পার্থক্য রয়েছে সেটি হলো সমুচা হয় ত্রিকোণাকার এবং অনেক বেশি ক্রিস্পি হয়ে থাকে আর সিংগারা হল গোলাকার। তবে সাধারনত প্রত্যেক জায়গায় এবং সিংহারা একইসাথে দোকানিরা বিক্রি করে থাকেন।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

কাবাব বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


কাবাব হলো বাংলাদেশের ভোজনরসিকদের অন্যতম প্রিয় খাবার। এই কাবাব এর প্রচলন ঢাকায় শুরু হয় মোগলদের হাত ধরে।  কাবাব এর স্বাদ অতুলনীয়। পুরান ঢাকার মানুষেরা আজও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অনুসরণ করে সন্ধ্যায় এবং রাতের খাবার হিসেবে কাবাব কে রাখেন সবার শীর্ষ। পুরান ঢাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় কাবাব হচ্ছে শিক কাবাব। বাংলাদেশ কাবাবের মধ্যে রয়েছে মাছের কাবাব, গরুর মাংসের  ছেচা কাবাব, টিক্কা কাবাব, টেংরি কাবাব,  রেশমি কাবাব, টুন্ডা কাবাব, বটি কাবাব এবং শিক কাবাব। পুরান ঢাকা থেকে এই সমস্ত সুস্বাদু কাবাব সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সারা বাংলাদেশ যে সমস্ত কাবাবগুলো তৈরি হয়ে থাকে সেই সমস্ত কাবাব এর স্বাদ পুরান ঢাকার কাবাব এর স্বাদ সব থেকে বেশি।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

আরো পড়ুনঃ আনলিমিটেড ফ্রি গুগল ড্রাইভ সারাজীবনের জন্য

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার

দেশের প্রতিটি জেলার নিজস্ব খাবার রয়েছে; যার সুনাম ও খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, চট্টগ্রাম মেজবানি মাংস। যদি আপনি জানেন, চট্টগ্রামে যান তবে এই খাবারের আসল স্বাদ ছাড়া আপনি আর ফিরে আসতে চাইবেন না। এই ইভেন্টে দেশের ৬৪ টি জেলার বিখ্যাত খাবারের নাম রয়েছে। যাতে আপনি যদি কোনও জেলাতে যান তবে আপনি সেখানকার বিখ্যাত খাবারের স্বাদ নিয়ে ফিরে আসতে পারেন।

ঢাকা বিভাগ

  • ঢাকা জেলা: বাকরখানি, বিরিয়ানি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • কিশোরগঞ্জ জেলা: বালিশ মিষ্টি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • টাঙ্গাইল জেলা: চমচম। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • নারায়ণগঞ্জ জেলা: রসমালাই। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • মুন্সীগঞ্জ জেলা: ভাগ্যকুলের মিষ্টি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • মানিকগঞ্জ জেলা: খেজুর গুঁড়। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • গাজীপুর জেলা: কাঁঠাল, পেয়ারা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • রাজবাড়ী জেলা: চমচম, খেজুরের গুঁড়। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • শরীয়তপুর জেলা: বিবিখানা পিঠা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • মাদারীপুর জেলা: খেজুর গুঁড়, রসগোল্লা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • গোপালগঞ্জ জেলা: রসগোল্লা ও ছানার জিলাপি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • ফরিদপুর জেলা: খেজুরের গুঁড়। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • নরসিংদী জেলা: সাগর কলা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

ঢাকাজেলা ও পুরান ঢাকার ভোজনভারী খাবার


রসনা বিলাসে  শত শত বছর ধরে ঢাকার নামডাক আছে।
এখানকার মানুষ মশলাদার খাবার পছন্দ করে। এর আগে সোনারগাঁও বন্দর দিয়ে মশালার জাহাজ এখানে আসত। ফলস্বরূপ, মশলাগুলি এখানকার মানুষের পকেটে রয়েছে। তাই নানাপদে বিরিয়ানি এখানকার লোকদের খাবার বিলাসিতার অংশ। কারও কারও কাছে এটি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া রমজানে বিভিন্ন মিষ্টি ও বাহারি ইফতার এখানকার খাবারের আর একটি ঐতিহ্যে। এতে মশলাদার হালিম যুক্ত হয়েছে। এছাড়া রয়েছে ভূনা খিচুড়ি, কাবাব, তেহারী,  পায়া,  গ্রিল চিকেন , শর্ষে ইলিশ,   এমনি নানাখাবার বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্ট্রিট ফুডস্টোরগুলোতে মুড়ি মাখা, আর দইচিড়াও বেশ চলে । বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের

ছানা  এবং মাঠা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার


ছানা  এবং মাঠা  বিক্রি করার সাথে পুরান ঢাকার অতীত ইতিহাস একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে । অনেকেরই ছানা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে  সকালের নাস্তা হিসেবে । মাঠা এবং ছানা তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে দুধ আর এ দুধের উৎস হচ্ছে পুরান ঢাকার বিভিন্ন দুধের আরট। আপনি যদি পুরান ঢাকায় যান তাহলে দেখতে পাবেন যে খুব ভোরে বিভিন্ন স্থানে মাঠা বিক্রেতারা মাঠানিয়ে বসে আছে। এই স্থানগুলো হল শাঁখারী বাজার, লালবাগের চৌরাস্তা, নারিন্দা পুলিশ ফাঁড়ির বিপরীতে সৌরভের মাঠা, চৌরাস্তায় শ্যামলের মাঠা।

আরো পড়ুনঃ SSD কি ? SSD কাকে বলে?

টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম

টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম বাংলাদেশের যত বিখ্যাত মিষ্টি রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম। কারণ টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম স্বাদে-গন্ধে একেবারে অতুলনীয়। টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম শুধু আমাদের দেশেই নয় আমাদের দেশের বাইরেও রয়েছে এই মিষ্টির সুনাম। টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম এর উপরে লালচে রঙের আর ভেতরটস নরম আর রসালো। আর এই মিষ্টির উপরিভাগে চিনিড় গুড়া দেওয়া থাকে। টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম মিষ্টি প্রসিদ্ধি লাভ করেছে টাঙ্গাইল জেলার জন্মের আগে থেকেই। তাই আপনি যদি কখনও টাঙ্গাইল জান তাহলে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম এর স্বাদ নিতে কিন্তু একদমই ভুলবেন না।

চট্টগ্রাম বিভাগ

  • রাঙামাটি জেলা: আনারস, কাঁঠাল, কলা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • নোয়াখালী জেলা: নারকেল নাড়ু, ম্যারা ও খোলাজা পিঠা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • লক্ষীপুর জেলা: সুপারি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • খাগড়াছড়ি জেলা: হলুদ। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • ফেনী জেলা: মহিষের দুধের ঘি, খন্ডলের মিষ্টি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • কক্সবাজার জেলা: মিষ্টিপান। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • কুমিল্লা জেলা: রসমালাই। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • চট্টগ্রাম জেলা: মেজবান, শুটকি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • চাঁদপুর জেলা: ইলিশ। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা: তালের বড়া, ছানামুখী, রসমালাই। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • বান্দরবন জেলা: হিল জুস, তামাক। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

চট্টগ্রামের মেজবানি মাংশ আর সামুদ্রিক মাছের শুটকি


চট্টগ্রামের খাবারের কথা বলতে গেলে আমাদের বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ নিয়ে কথা বলতে হবে। সমুদ্র তীরবর্তী জেলা হওয়ায় এখানে প্রচুর সমুদ্রের মাছ রয়েছে। প্রতিদিন সমুদ্রের মাছ খাওয়া তাই এখানে পানির চাল। তবে এখানকার মানুষের কাছে, রাজকীয় খাবার হ'ল মেজবানের মাংস। এটাই গো-মাংস। কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য রান্না করার সময় কিছুটা আলাদা রেসিপিতে রান্না করা হয়। এই খাবারের স্বাদও মনে রাখার মতো। চট্টগ্রামের লোকেরা তাদের আহারের জন্য যে পরিমাণ সুনাম কিনেছিল তাদের আতিথেয়তার জন্য তার চেয়ে বেশি সুনাম কিনেছে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। 

মেজবানি গরুর মাংস দু রকমের হয়ে থাকে একটি হল ছোলা দিয়ে মাংস রান্না করা, এবং অপরটি হল মাংসের রেজালা টাইপের বা মাখো মাখো ঝোল দিয়ে মাংস রান্না করা । আর এই দুটি মাংস রান্নায় আমাদেরকে এতটাই কাছে যে কখনও কখনও রান্না করা মাংস শহরে কেজি দরে বিক্রি করা হয়ে থাকে । চট্টগ্রাম মানুষদের কাছে সামুদ্রিক মাছ এবং তাদের শুটকি এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে । এই সমস্ত শুটকির নানা রকম রেছিপি রয়েছে। সারা দেশের মানুষ এখন চট্টগ্রামে শুটকি ভর্তা খেতে শিখেছে। বর্তমানে বেশ কিছু হোটেলে এই মেজবানি মাংস রান্না করা হয়ে থাকে। এই মেজবানি মাংস গরম ভাতের সঙ্গে আমেরিকা এবং লন্ডনে চলে গিয়েছে। চট্টগ্রামের অন্যান্য জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম শুটকি এবং লইট্টা মাছ।

আরো পড়ুনঃ বাসর রাতে শারীরিক মিলন করা কি ঠিক?

কুমিল্লার রসমালাই। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার


রসমালাই শুধু আমাদের এই বাংলাদেশেই নয় রসমালাই দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনপ্রিয় মিষ্টি। তবে আমরা যদিরসমালাই এর কথা বলি তাহলে আমাদের সবার মাথায় প্রথমেই কুমিল্লা কথা আসে। কুমিল্লার রসমালাই মাতৃভান্ডারের রসমালাই হিসাবে সারাদেশ একনামে চিনে থাকে। কুমিল্লার রসমালাই শুধু  আমাদের বাংলাদেশেই নয় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে  আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি মিলেছে। কুমিল্লার রসমালাই  এর খ্যাতির পাশাপাশি রয়েছে এবং চাহিদা এত পরিমাণে ছড়িয়েছে যে এখন আসল রসমালাই খুশি খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। 

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। 

তবে আপনারা একেবারে আশাহত হবেন না কারণ আমরা আপনাকে দিচ্ছি আদি এবং আসল রসমালাই এর দোকানের ঠিকানা । আপনি যদি আসল এবং আদি রসমালাই খেতে চান তাহলে আপনাকে সরাসরি চলে যেতে হবে কুমিল্লা শহরের মনোহরপুরে অবস্থিত মাতৃভান্ডার নামের এই দোকানটিতে। তবে আপনি এই সাথেসাথেই রসমালাই পাবেন না এই দোকান থেকে আসল রসমালাই পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সিরিয়াল দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মাসিক এর ব্যথা কমাতে কার্যকর টিপস।

খুলনা বিভাগ

  • সাতক্ষীরা জেলা: সন্দেশ। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • নড়াইল জেলা: পেড়ো সন্দেশ, খেজুর গুঁড় ও রস। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • মেহেরপুর জেলা: মিষ্টি সাবিত্রি ও রসকদম্ব। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • মাগুরা জেলা: রসমালাই। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • কুষ্টিয়া জেলা: তিলের খাজা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • ঝিনাইদহ জেলা: হরি ও ম্যানেজারের ধান। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • চুয়াডাঙ্গা জেলা: পান, তামাক, ভুট্টা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • বাগেরহাট জেলা: চিংড়ি, সুপারি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • খুলনা জেলা: সন্দেশ, নারিকেল, গলদা চিংড়ি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • যশোর জেলা: খই, খেজুরের গুঁড়, জামতলার মিষ্টি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

খুলনার চুইঝাল মাংশ। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার


খুলনায় যদি কেউ বেড়াতে যায় তাহলে খুলনার চুই ঝাল দিয়ে রান্না করা মাংস না খেয়ে ফিরবে না কারণ খুলনার চুই ঝাল মাংস খেতে এতটাই সুস্বাদু। যারা খুলনায় এই মাংস খেতে পারেন না তাদের জন্য ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে খুব যত্ন করে চুই ঝাল মাংস খুব যত্ন করে রান্না করা হয়ে থাকে। চুই গাছ পাওয়া যায় খুলনা, সাতক্ষী্রা, বাগেরহাটে । যখন কাটিং থেকে নতুন চারা বের হয় তখন সেটা কোন ফল গাছে বা কাঠে যদি লাগিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সেটি ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে ।চুই হল এক ধরনের লতা জাতীয় গাছ এজন্য এই গাছটা নারকেল সুপারি গাছের গোড়ায় লাগানো হয়ে থাকে । যখন এক বছর হয় তখন এটি খাওয়া যায় তবে ভালো স্বাদের জন্য পাঁচ থেকে ছয় বছরের চুই গাছ একেবারে আদর্শ । খুলনার চুকনগরের রেস্টুরেন্টের খ্যাতি রয়েছে সারা দেশে চুইঝাল দিয়ে খাসির মাংস রান্না করার কারণে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

আরো পড়ুনঃ ছেলেরা মেয়েদের প্রতি আকৃষ্ট হয় কেন ।

সিলেট বিভাগ

  • সিলেট জেলা: চা, কমলালেবু, সাতকড়ার আচার। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • মৌলভীবাজার জেলা: ম্যানেজার স্টোরের রসগোল্লা, খাসিয়া পান।
  • সুনামগঞ্জ জেলা: দেশবন্ধুর মিষ্টি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • হবিগঞ্জ জেলা: চা । বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

শ্রীমঙ্গল এর সাত রংয়ের চা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার 


শ্রীমঙ্গল হচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উপজেলার শীতলতম জায়গা।  শ্রীমঙ্গল উপজেলা কে পাহাড় এবং চা বাগান মিলে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তুলেছে। আর এই শ্রীমঙ্গলের একটি বিখ্যাত পানিও হচ্ছে সাত রংয়ের চা অর্থাৎ আপনি যে চা টি পান করবেন সেই চা'য়ের লেয়ার দেয়া থাকবে সাতটি। আর এই সাত রংয়ের চা স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। অসংখ্য পর্যটক এই শ্রীমঙ্গলে আসেন শুধুমাত্র প্রকৃতির টানে এবং এই সাত রংয়ের চা এর মায়ায়।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

বরিশাল বিভাগ

  • ভোলা জেলা: নারিকেল, দই। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • পটুয়াখালী জেলা: মহিষের দই। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • পিরোজপুর জেলা: পেয়ারা, নারিকেল, সুপারি, আমড়া। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • ঝালকাঠি জেলা: আটা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • বরিশাল জেলা: আমড়া। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • বরগুনা জেলা: চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি

বরিশালের নারকেলের পেটে চিংড়ি 


নারকেলের পেটে চিংড়ি হলো বরিশালের একটি বিখ্যাত খাবার। এই খাবার রান্না করা হয় নারকেলের ভিতর চিংড়ি মাছ দিয়ে। সমস্ত মসলা দিয়ে চিংড়ি সুন্দর করে মাখিয়ে চিংড়ি মাছ গুলোকে নারকেলের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে সেই নারকেলের মুখটা সুন্দর করে বন্ধ করে জ্বলন্ত চুলায় দিয়ে রান্না করা হয়ে থাকে। আপনি এই নারকেলের পেটে  চিংড়ি খাবারটি বরিশাল ছাড়া অন্য কোথাও পাবেন না। আপনি যদি নারকেলের পেটে চিংড়ি দেওয়া মজাদার এই খাবারটি খেতে চান খাবারের স্বাদ নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বরিশাল যেতে হবে ।

ময়মনসিংহ বিভাগ

  • নেত্রকোনা জেলা: বালিশ মিষ্টি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • শেরপুর জেলা: ছানার পায়েস ও চপ। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • জামালপুর জেলা: ছানার পোলাও ও পায়েস। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • ময়মনসিংহ জেলা: মুক্তাগাছার মন্ডা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার


বালিশ মিষ্টি এর কথা মনে পড়লেই আমাদের নিজেদের অজান্তেই চলে আসে নেত্রকোনা জেলার কথা। এই বিখ্যাত বালিশ মিষ্টি তৈরির প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন গয়ানাথ ঘোষ প্রায় শত বছরেরও বেশি সময় আগে। গয়ানাথ ঘোষ এর স্বপ্ন ছিল তিনি নতুন এক ধরনের মিষ্টি তৈরি করবেন এবং সেই মিষ্টির জন্য তিনি অমর হয়ে থাকবেন এবং সেটা হয়েছে। একবার তিনি একটি বিশাল সাইজের মিষ্টি তৈরি করলেন আর সেই মিষ্টিটার সাইজ ছিল অনেকটা একটা কোল বালিশের মত। গয়ানাথ ঘোষ তার  ক্রেতাদের পরামর্শে এই মিষ্টির নাম রাখেন বালিশ মিষ্টি। গয়ানাথ ঘোষ এর দোকান ছাড়াও নেত্রকোনা শহরের প্রায় সব দোকানেই এই বালিশ মিষ্টি পাওয়া যায়। কিন্তু গয়ানাথ ঘোষ এর বালিশ মিষ্টি স্বাদ একেবারেই অন্যরকম স্বাদে-গুনে একেবারে অতুলনীয়। আপনি যদি কখনও নেত্রকোনায় ঘুরতে যান তাহলে বাসায় ফেরার সময় অবশ্যই বালিশ মিষ্টি নিয়ে ফিরবেন।

আরো পড়ুনঃ সাদা স্রাব দূর করার উপায়।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডা 


মুক্তাগাছা এবং মন্ডা এরা যেন একে অন্যের পরিপূরক। মুক্তাগাছার মন্ডার কথা বা মুক্তাগাছা মন্ডার সুখ্যাতি কেউ শোনেননি এমন মানুষ পাওয়া যাবেনা। ছানা দিয়ে তৈরি এই বিশেষ ধরনের মিষ্টি একমাত্র ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পাওয়া যায় অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। মুক্তাগাছার অবস্থান হল ময়মনসিংহ সদর থেকে প্রায়। ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে । আপনি যদি মুক্তাগাছা জান তাহলে আপনি মুক্তাগাছার মন্ডার স্বাদ নিতে পারবেন এবং জমিদারবাড়ি ও দর্শন করতে পারবেন। আসল মন্ডার স্বাদ পাবেন গোপাল পালের মন্ডার দোকান থেকে।

রংপুর বিভাগ

  • দিনাজপুর জেলা: লিচু, কাটারিভোগ চাল, চিড়া। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • গাইবান্ধা জেলা: রসমঞ্জরি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • কুড়িগ্রাম জেলা: চমচম। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • লালমনিরহাট জেলা: রস। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • নীলফামারী জেলা: ডোমারের সন্দেশ। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • পঞ্চগড় জেলা: ডিম ভূনা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • ঠাকুরগাঁও জেলা: সূর্যপুরী আম। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • রংপুর জেলা: তামাক, ইক্ষু। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

উত্তরবঙ্গের সিদল ভর্তা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার  


সিদল হল উত্তরবঙ্গের একটি জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ করে নীলফামারী, রংপুর ইত্যাদি জায়গায় খুব বেশি জনপ্রিয় হলো এই সিদল। উত্তরবঙ্গের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে তৈরি হয়ে থাকে এই সিদল।  সিদল  তৈরীর প্রধান  উপকরণ হলো শুটকি মাছ এবং কচুর ডাটা। প্রথমে শুটকি হামানদিস্তায় সুন্দর করে নিতে হবে তারপর  কচুর ডাটা গুলোকে তুলে এনে কুচি কুচি করে হামানদিস্তার নিতে হয়। তার মধ্যে  দিতে হয় একে একে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ দিয়ে খুব সুন্দর মত একটা পেস্ট তৈরি করে এই পোস্টগুলোকে রোদে শুকিয়ে পরে রান্না করা তরকারির মধ্যে দিয়ে রান্না করে খেতে হয়। এই সিদল ভর্তা করে খাওয়া যায় এর স্বাদ একেবারে অতুলনীয়।

রাজশাহী বিভাগ

  • রাজশাহী জেলা: আম। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • নওগাঁ জেলা: চাল, সন্দেশ। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • জয়পুরহাট জেলা: চটপটি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • নাটোর জেলা: কাঁচাগোল্লা, বনলতাসেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • বগুড়া জেলা: দই। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা: আম, শিবগঞ্জের চমচম, কালাইয়ের রুটি
  • পাবনা জেলা: ঘি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের
  • সিরাজগঞ্জ জেলা: পানিতোয়া। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

বগুড়ার দই। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার।


দই  এর কথা মনে হলে প্রথমে আমাদের যে জেলাটির কথা মনে আসে সেটা হল বগুড়া দই । মানসম্মত এবং স্বাদে অতুলনীয় এর জন্যই মূলত বগুড়ার দই  বিখ্যাত।  বগুড়ার মানুষেরা নিজেদের পদ্ধতিতে দই তৈরি করে থাকেন যার জন্য এর স্বাদ অতুলনীয় হয়ে থাকে। মানুষের খাবারের তালিকায় বগুড়ার দই শীর্ষস্থান দখল করে আছে দেশভাগের আগে থেকেই। বগুড়ার দই এর বিকল্প নেই আপনার প্রিয়জনদের কে আপনজনদের কে আপ্যায়ন করার ক্ষেত্রে। তাই আপনি যদি কখনও বগুড়া গিয়ে থাকেন তাহলে একবার হলেও এই দইয়ের স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা।

আরো পড়ুনঃ নোরা ফাতেহি বলিউডের সেরা আবিষ্কার

রাজশাহীর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম 


রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত। বাংলাদেশের সব জেলার মধ্যে রাজশাহীতে সবথেকে বেশি আম পাওয়া যায় বা রাজশাহীতে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের বাগান বেশি। রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। রাজশাহীর আম এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম শুধু বাংলাদেশ না এগুলো বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। এবং বিদেশীরাও আমাদের এই চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম অনেক বেশি পছন্দ করেন । আপনি যদি আমের সিজনে কখনো রাজশাহী অথবা চাঁপাইনবাবগঞ্জের যান তাহলে আম কেনার কথা একদমই ভুলবেন না। এবং চাঁপাইয়ের আম একবার খেলে আপনার আপনি এর স্বাদ কখনোই ভুলবেন না।

আরো পড়ুনঃ (Amazon) অ্যামাজন জঙ্গল কে সারা পৃথিবী যে কারণে ভয় পায়।

আমাদের শেষ কথা 

তো প্রিয় বন্ধুরা আপনারা আজকে আমার এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বা বিখ্যাত বা জনপ্রিয় খাবার গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন । এবং জানতে পারবেন যে কোন জেলায় কোন কোন খাবারগুলো বিখ্যাত। এই সমস্ত বিষয়ে যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনারা যদি কখনো কোন জেলায় যান তাহলে সেই জেলার বিখ্যাত খাবার গুলো খেতে পারবেন। আর আমার আজকের পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।




Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন