পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়। ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস ভালো করার উপায়।


হেমোরয়েডস সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবং জটিল রোগগুলির মধ্যে একটি। এটি মানুষের মলাশয়ের একটি রোগ।এই রোগে মলদ্বারের অভ্যন্তরে বা বাইরে, চারপাশে বা একপাশে, এক বা একাধিক, গোল বা পয়েন্টযুক্ত জপমালা প্রদর্শিত হয়। এই পুঁতিগুলিকে বলা হয় ‘বলি’ বা ‘গেজ’। আপনি যখন টয়লেটে যান, অভ্যন্তরীণ সমস্যার তুলনায় কারো বেশি রক্ত এবং রক্ত যায়। আবার অনেকের রক্ত ঝরে না। আবার অনেকের রক্ত ঝরে না। হেমোরয়েড বা পাইলসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আজকে আমি আমার এই পোস্টে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব যে কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস সমস্যার সমাধান করা যায় বা কিভাবে এটা ঘরোয়া উপায়ে ভালো করা যায়। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
পায়েল এর সমাধানের জন্য আমরা যে ধরনের প্রশ্ন পেয়ে থাকি। আপনাদের কাছ থেকে সেই প্রশ্নের উপরে ভিত্তি করে আজকের আমাদের এই পোস্টটি আপনারা দয়া করে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন এবং পাইলস রোগের সম্পূর্ণ ভাবে জানুন :  পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
  • পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
  • পাইলস এর ঔষধ এর নাম
  • অর্শ রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা
  • পাইলস থেকে মুক্তির দোয়া
  • পাইলসের রক্ত পড়া বন্ধের উপায়
  • গেজ রোগের ছবি
  • পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায়
  • অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা
পাইলস কেন হয় ? পাইলস ভালো করার উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্য, দীর্ঘমেয়াদী কাশি, মূত্রথলির অসম্পূর্ণতা, গর্ভাবস্থা, মলদ্বারের ক্যান্সার এবং দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত দাঁড়িয়ে থাকার সমস্যা থাকলে পাইলস হতে পারে।পাইলসের লক্ষণগুলির মধ্যে মলদ্বারে ব্যথা, রক্তপাত এবং মলদ্বার ফোলাভাব অন্তর্ভুক্ত। অন্য কথায়, আন্ত্রিক গতির সময় অতিরিক্ত চাপ, জন্মগতভাবে দুর্বল ধমনী, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, ভারী কাজের চাপ, অতিরিক্ত ওজন, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি এর কারণে পাইলস বা অর্শ হয়। ঠিকমতো পাইলস বা অর্শ এর চিকিৎসা না করালে অল্প অল্প করে রক্ত ঝরতে ঝরতে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

কিভাবে বুঝবেন আপনার পাইলস হয়েছে?

মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তক্ষরণ, চুলকানি বা অস্বস্তিকর জ্বলন, মলদ্বারে ব্যথা, মলদ্বারের বাইরের ফোলাভাব বা প্রস্রাবের সময় বেদনাদায়ক রক্তপাত ছাড়াও আরও যেসব কারণে বুঝবেন যে আপনার পাইলস বা অর্শ হয়েছে সেগুলো হলো: পাইলস ভালো করার উপায় ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস সারানোর উপায়।

  • মলত্যাগ করার সময় অল্প বা বেশি পরিমাণে রক্ত যাওয়া পাইলস ভালো করার উপায়
  • কাটা কাটার মত অনুভূতি হওয়াপাইলস ভালো করার উপায়
  • মাথা ধরা বা মাথা ভার ভার মনে হওয়া পাইলস ভালো করার উপায়
  • যন্ত্রণা ও টাটানি হওয়া।পাইলস ভালো করার উপায়
  • গুহ্য দ্বারে ফুলে যাওয়া এবং জ্বালাপোড়া করা পাইলস ভালো করার উপায়
  • কোমর ধরে যাওয়া। পাইলস ভালো করার উপায়
  • এবং কোষ্ঠবদ্ধতা হওয়া। পাইলস ভালো করার উপায়
  • উরু, বুক, নাভির চারপাশে ব্যথা এবং মলদ্বারে ভারী লাগা।

অশ্ব বা পাইলস হলে কি করবেন?

  • কবিরাজ বা হাতুড়ে ডাক্তার দের না দেখানো পাইলস ভালো করার উপায়
  •  হজম হয়না এমন খাবার না খাওয়া। ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস সারানোর উপায়।
  •  নিয়মিত মলত্যাগ করা। ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস সারানোর উপায়।
  •  এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্রাম নেওয়া

অশ্ব বা পাইলস প্রতিরোধের উপায়?

এখন পাইলসের জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা বের হয়েছে। পাইলসের সমস্যা কতটা গভীর তার উপরে ডিপেন্ড করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কখনো কখনো শুধু ওষুধে কাজ হয় আবার কখনো কখনো পাইলস বা অর্শ সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে অপারেশন করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা। তবে পাইলসের সমস্যার জন্য কিছু কিছু নির্দিষ্ট টোটকা আছে যেটা খুবই উপকারী সেগুলো হলো: পাইলস ভালো করার উপায়

মুলার জুসপাইলস ভালো করার উপায়

মুলা এমন একটি শব্দ যেটা সবসময় আমাদের ঘরে থাকে। আর এই সবজি পাইলস বা অর্শ সমস্যার জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপনি যদি এই মুলার রস খান তাহলে আপনি অশ্ব বা পাইলস এর ক্ষেত্রে অনেকটা উপকার পাবেন। প্রথমদিকে মুলার রস খেতে আপনার অনেক কষ্ট হবে তাই প্রথমদিকে এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ দিয়ে শুরু করবেন। এবং তারপরে আস্তে আস্তে বাড়িয়ে হাফ কাপ পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারবেন। আপনি যদি নিয়মিত মুলার জুস খান তাহলে আপনি পাইলস বা অর্শ এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন।

আরো জানুন: বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করুন |

লেবু ও আদার রস | পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

পাইলস এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডিহাইড্রেশন। আপনি যদি আদা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে তার মধ্যে এক চামচ মধু দিয়ে দিনে দুবার এই মিশ্রণটি পান করেন তাহলে আপনার পাইলস এর ক্ষেত্রে অনেক উপকার হবে। কারণ এই শরবত শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে সাথে পাইলসের সমস্যার সমাধান করে। ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস সারানোর উপায়।

মলত্যাগের সময় বসার ধরন | পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

অনেকে ভুল পদ্ধতিতে মলত্যাগ করে থাকেন। অনেক সময় ভুল পদ্ধতিতে কমোডে বসার ফলে অতিরিক্ত তাপের প্রয়োজন হয়। তাই যখন আপনি যখন  কমোডে  মলত্যাগ করবেন তখন পায়ের নিচে একটা ছোট টুল রাখুন। আপনি  যখন  কমোডে  মলত্যাগ করবেন তখন একটু সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এতে কি হবে আপনার বৃহদন্ত্রে কম চাপ পড়বে আর আপনি পাইলস না হওয়ার সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন।

কাঁচা পেঁয়াজপাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

কাঁচা পেঁয়াজ আপনি যদি খান তাহলে পাইলস এর কারনে আপনার মলদ্বার থেকে যে রক্তক্ষরণ হয় সেটা অনেকটাই কমে যাবে। কাঁচা পেঁয়াজ শুধু রক্ত পড়া কমাবে  না কাঁচা পেঁয়াজ অন্ত্রের যন্ত্রণা কমাতে অনেকটা সাহায্য করবে। ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস সারানোর উপায়। । ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস সারানোর

বেদানাপাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

বেদানা ও আপনার পাইলসের সমস্যার সমাধান দেবে। প্রথমে বেদানার দানা গুলো ভালো করে ছাড়িয়ে সেটা পানিতে ভালো করে ফোটাতে হবে যতক্ষণ না পানির রং বদলে। যতক্ষণ না পানির কালার বদলে বেদনার কালারের মত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে পানি ফুটিয়ে যেতে হবে। তারপরে পানিকে সুন্দর করে ছেঁকে নিতে হবে । দিনে দুইবার খেতে হবে তাহলেই আপনি আপনার পাইলসের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।

আরো জানুন: ইন্টারনেটের সুবিধা অসুবিধা।

ডুমুরপাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

পাইলসের সমস্যা সমাধানে অনেকটাই কাজে দেয় ডুমুর। এজন্য আপনাকে কি করতে হবে শুকনো ডুমুর নিয়ে এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে।  পরের দিন সকালে উঠে এই ডুমুর ভেজানো পানি অর্ধেক খেয়ে নিতে হবে আর বাকি অর্ধেক খেতে হবে বিকেলে। কিছুদিন খাওয়ার পরে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি কতটা উপকার পাচ্ছেন। ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস সারানোর উপায়।

হলুদ। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

হলুদ পাইলস বা অর্শ সমস্যা সমাধানে অনেকটা কাজে লাগে। এজন্য আপনাকে কি করতে হবে কাঁচা হলুদ পানিতে দিয়ে ভালো করে পানিকে ফোটাতে হবে। আরে ফোটানো পানি আপনাকে নিয়মিত পান করতে হবে। আপনি যদি এই ফোটানো হলুদ পানি নিয়মিত পান করেন তাহলে পাইলসের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন। পাইলস ভালো করার উপায় পাইলস ভালো করার উপায় পাইলস ভালো করার উপায়

কলা। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

কলা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে উপকারী এবং ভালো একটা ওষুধ।  বিনা কষ্টে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে কলা। কলা খেলে মলত্যাগ করার সময় মলদ্বারে কোন রকমের কোন চাপ পড়ে না। যার কারণে পাইলসের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আপনি যদি কলা সয়াবিনের দুধ দিয়ে খান তাহলে আরো তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন। ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস সারানোর উপায়।

ওয়ার্কআউট | পাইলস ভালো করার উপায়

এমন কিছু ওয়ার্কআউট রয়েছে যেগুলো আপনি নিয়মিত করলে আপনার পাইলসের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন। শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত ওয়ার্কআউট করতে হবে। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে ওয়ার্ক আউট করার সময় খুব বেশি পরিশ্রম বা ভারী জিনিস তোলা যাবে না কারণ এগুলো পাইলসের সমস্যা বাড়াতে পারে। সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটার মত হালকা যে ওয়ার্কআউট গুলো রয়েছে সেগুলো করতে পারেন। 

ডালপাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

পাইলসের সমস্যা সমাধানের জন্য খুবই উপকারী ডাল। পাইলসের সমস্যার সমাধান যে ডালগুলো করে সেগুলো হলো তিসী ডাল, খেসারি ডাল, মসুর ডাল এ ধরনের সমস্যা সমাধানে খুবই সাহায্য করে। 

আরো জানুন: কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি

আমাদের শেষ কথা 

শেষে আমি এটাই বলতে চাই যে আপনারা ঘরে বসেই পাইলস বা অর্শ সমস্যা সমাধান করতে পারেন। একটু যদি নিয়ম মেনে চলেন তাহলে আপনারা পাইলস বা অর্শ সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আজকে আপনারা আমার এই পোস্টটি পড়ে জানতে পারবেন যে কি করে ঘরোয়া উপায়ে পাইলস বা অর্শ নিয়ন্ত্রণে রাখা বা কমানো সম্ভব রাখা।

পাইলস সমস্যা সমাধানের উপায়। ঘরোয়া উপায়ে অশ্ব বা পাইলস ভালো করার উপায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন