বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম সৃষ্টির প্রাচীন ইতিহাস
বৃদ্ধাশ্রম | বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
বর্তমান সমাজে আমাদের সকলের সাথেই বৃদ্ধাশ্রম শব্দটা পরিচিত। আমরা বৃদ্ধাশ্রম এর সংজ্ঞা হিসেবে বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মা, দাদা-দাদী কে আমাদের বাড়ি ছেড়ে অন্য কোনো প্রবীণ আবাসস্থলে রেখে আসাকেই বুঝি। পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটা দেশেই এই বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। বর্তমান সমাজে আমাদের সন্তানদের কাছে বাবা-মা একটু বয়স্ক হলেই যেন তারা আমাদের চোখের কাঁটা হয়ে যায়।
সেবা-যত্ন ভালোবাসা | বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
আমরা মনে করতে থাকি যে আমাদের পরিবার থেকে বাবা-মা বিদায় নিলে যেন আমাদের ঘার থেকে অনেক বড় বোঝা নেমে যায়। কিন্তু আমরা একবারের জন্য মনে করিনা যে এইবাবা-মা ছোটবেলা থেকে অনেক আদর যত্নে অনেক কষ্ট করে আমাদেরকে বড় করে তুলেছেন। সুতরাং এই বাবা-মাকে বৃদ্ধ বয়সে সেবা-যত্ন ভালোবাসা দেওয়াটা আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। জীবনে সুখী হওয়া যায় না যে সমস্ত কারণে।
60 বছর বয়স বাধ্যক্য | বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
60 বছর বয়স কে জাতিসংঘ বাধ্যক্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আর যখনই আমাদের বাবা-মা এই বাধ্যক্য তে পা রাখেন অর্থাৎ যখনই আমাদের বাবা মায়ের কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে তখনই আমাদের আজকের সমাজের বেশিরভাগ সন্তানেরা এমন ভাব করে যেন বাবা-মা যদি আমাদের পরিবারের না থাকে তাহলে অনেক ভালো হয় বা তারা অনেক ভালো থাকে। বাছইকৃত গুরুত্বপূর্ণ হাদিস ২০টি এই পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন
বাবা-মা সন্তানদের কাছ কেমন | বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
সেজন্য আজকের আমাদের আধুনিক সমাজে অনেক সন্তানরাই মাসে মাসে বৃদ্ধাশ্রমের টাকা দিয়ে হলেও তাদের বাবা মাকে রেখে আসেন এই বৃদ্ধাশ্রম নামক এক অসহ্য যন্ত্রণায় কারাগারে। প্রত্যেক বাবা-মা সন্তানদের কাছ থেকে তাদের পরিবার পরিজনদের কাছ থেকে একটু আদর একটু ভালোবাসা একটু যত্ন আশা করে থাকে। কিন্তু সেখানে আমাদের বাংলাদেশের এক জরিপে দেখা গিয়েছে যে বাংলাদেশের শতকরা 88 ভাগ বাবা-মা কোনো না কোনো সন্তানের কাছ থেকে দূরে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে শীতের সবজি খাবারের তালিকায় রাখুন।
শিশুরা 18 বছর বয়সে | বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
এরকম উন্নত পশ্চিমা বিশ্বের বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। পুরানো মানুষ তাদের মধ্যে উত্থাপিত হয়। সামগ্রিক পরিষেবা সরবরাহ করা হয়। কারণ পশ্চিমা দেশগুলিতে, শিশুরা 18 বছর বয়সে পৌঁছে যাওয়ার পরে তাদের বাবা-মায়ের সাথে থাকতে বাধ্য নয় । পিতামাতাকে উপার্জিত অর্থ দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কেউ তার বাবা-মার সাথে থাকতে পারে বা তাকে টাকা দিতে পারে। এটি তার নিজের ইচ্ছা। ফলস্বরূপ, জীবনের এক পর্যায়ে প্রবীণরা চরম হতাশা এবং অসহায়ত্বের শিকার হন। এজন্য বার্ধক্যকেন্দ্রের উত্থান ও পরিচালনার খুব প্রয়োজন। যাদের কোনও নেই, স্বজন নেই, বার্ধক্যজনিত কাঙ্ক্ষিত এবং প্রত্যাশিত। জীবনে সফল হওয়ার উপায়। জীবনে সফল হবেন কিভাবে।
আমাদের এই বাংলাদেশে দিন দিন বেশি বয়সে মানুষ জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে। আর এদেশে বেশি বয়সি মানুষদের সংখ্যার মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে মহিলা তথা মা। যে মায়ের পায়ের তলে আমাদের সন্তানদের বেহেশত। বর্তমানে আমাদের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে 72 বছর 3 মাস 18 দিন। এক জরিপে দেখা গিয়েছে যে বাংলাদেশের যত প্রবীণরা বাস করেন তাদের মধ্যে শতকরা 88 ভাগ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কোননা কোন সন্তান বাইরে থাকেন। বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম । বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
আরো পড়ুনঃ ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কিভাবে করবেন
বৃদ্ধ পিতা-মাতার সাথে যোগাযোগ | বৃদ্ধাশ্রম মা বাবার ভূমিকা
আর এইসব সন্তানদের এইসব বৃদ্ধ পিতা-মাতার সাথে যোগাযোগ হয় খুবই কম। আর এইসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাস্তব জীবনের অবস্থা খুবই করুণ এবং খুবই অসহায়। তারা হয়ে থাকেন সন্তান পরিত্যক্তা। আর এ পরিস্থিতিতে যখন একজন বাবা-মা তার পরিবারের নিকট থেকে ঠাঁই হারিয়ে ফেলেন তখন তার একমাত্র ভরসা বা উপায় হয়ে যায় এই বৃদ্ধাশ্রম নামক এক কারাগার। আমরা একসময় বৃদ্ধাশ্রমকে একটি আতংকের এবং আপত্তিকর স্থান বলে মনে করতাম। বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম । বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
গণমাধ্যমে হাইলাইট | বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
আরো পড়ুনঃ যেসব ক্যান্সার মানবদেহে নীরবে বাসা বাঁধে
আমরা তখন বৃদ্ধাশ্রম এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি যখন একজন ছেলে তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে জমি লিখে নিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় তখন । তখন আমাদের মনে হয় যে বৃদ্ধাশ্রম এর প্রয়োজনীয়তা আমাদের জীবনে হাসপাতালে মতই । মাঝে মাঝে মনে হয় যে বৃদ্ধাশ্রম এর প্রয়োজনীয়তা আমাদের জীবনে হয়তো হাসপাতালে চেয়েও বেশি । বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
বাবা মা কেন বৃদ্ধাশ্রমে । বৃদ্ধাশ্রম এর ইতিহাস
প্রাচীন চিনে বিশ্বের প্রথম বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই উদ্যোগ শান রাজবংশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। 2200 এর দশকে, শান রাজবংশ তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন প্রবীণদের জন্য এই আশ্রয়টি তৈরি করে ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান অর্জন করেছিল। প্রবীণদের জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা ছিল। খাবার, বিনোদন, আরামের কোনও অভাব ছিল না। বুড়ো বয়স হ'ল বৃদ্ধ পুরুষ ও মহিলাদের আবাসস্থল। ইতিহাসবিদরা এটিকে প্রাচীন চীনের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা বলে অভিহিত করেছেন। বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
মহিলা এবং পুরুষের সংখ্যা | বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বিজ্ঞানের অকল্পনীয় সাফল্য, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব অগ্রগতি সারা বিশ্বজুড়ে গড় আয়ু বাড়িয়েছে। ফলস্বরূপ, পুরো বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে প্রবীন মহিলা এবং পুরুষের সংখ্যা বিশ্বে মোট 6 দশমিক 1 শতাংশ । 2025 সালে, এই সংখ্যা 10.1 শতাংশে বৃদ্ধি পাবে। তদুপরি, বর্তমানে যৌথ পরিবার ভেঙে যাচ্ছে এবং একটি পরিবার তৈরি হচ্ছে। ফলস্বরূপ, বৃদ্ধ বাবা-মা তাদের আশ্রয় এবং থাকার ব্যবস্থা হারাচ্ছেন। তদুপরি আলাদা হওয়ার কারণে তাদের সাথে অভিভাবকদের যোগাযোগও হ্রাস পাচ্ছে। বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
আরো পড়ুনঃ ক্যান্সার হয় যে খাবারে
ছয়টি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা হয়েছে | বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
বাংলাদেশের শতকরা প্রায় 20 জন মানুষ একা একা থাকেন। অথবা তারা স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে থাকে না। আমাদের বাংলাদেশের শতকরা দরিদ্র প্রবীনদের সংখ্যা প্রায় 37 জন । বর্তমান সরকার বাংলাদেশের প্রবীনদের কথা চিন্তা করে প্রবীনদের জন্য বয়স্ক ভাতা চালু করেছেন । এছাড়া আমাদের দেশের সরকার কর্তৃক ছয়টা বিভাগে মোট ছয়টি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা হয়েছে । এবং অনেকগুলো বেসরকারি পর্যায়ে বৃদ্ধাশ্রম চালু হয়েছে । তবে বৃদ্ধাশ্রমের চাহিদা রয়েছে সে তুলনায় সে তুলনায় বৃদ্ধাশ্রম এর সংখ্যা বেশ অনেকটাই কম। আমাদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম সুখকর বা মধুময় নয়। বৃদ্ধাশ্রম আমাদের জন্য পাশ্চাত্য সংস্কৃতির একটা লজ্জাজনক উপহার। বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম । বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
আরো পড়ুনঃ স্মৃতিশক্তি নষ্ট করতে পারে যে ৫টি খাবার
সরকার বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধি | বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
সরকার বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধের জন্য আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা করুক না কেন আমাদের যেন এটা কখনোই কাম্য না হয় যে কোন বাবা মা তার সন্তানের অবহেলার জন্য বৃদ্ধাশ্রম নামক এক যন্ত্রণাময় বন্দি কারাগারে বন্দি হক। আমাদের বাংলার সারাবিশ্বের প্রত্যেকটা মানুষের প্রতি অনুরোধ থাকবে যে আপনাদের বাবা মা বৃদ্ধ হয়ে গেলে তাদেরকে কখনোই অবহেলা করবেন না । বরং তাদেরকে আপনার সন্তানদের সাহচর্য পেতে দিন বা আপনার সন্তানদের সাহচর্যে থাকতে দিন। এতে করে কী হবে এতে করে আপনার সন্তানরা যেমন ভালো বন্ধু পাবে এমনি তারা ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
বৃদ্ধাশ্রম এর পরিবেশ কেমন হওয়া উচিত
অগণিত গাছ এবং ছায়ায় ঘেরা, গাজীপুরের পুরানো পুনর্বাসন কেন্দ্রে মায়ায় ভরপুর কিছুই নেই। একশ বিঘা জমিতে প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রে উপযুক্ত খাদ্য, নিজস্ব পুকুর থেকে মাছ, ফলের গাছ, চিকিত্সা, বিনোদন, রেস্টরুম, উপাসনালয় সহ সব ধরণের সুবিধা রয়েছে। শত শত লোকের সাথে সুরক্ষা প্রাচীরের মতো পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক পৃথক বিল্ডিং। পরিষ্কার কক্ষগুলিতে সারি সজ্জিত একক বিছানা রয়েছে। বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম । বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম ।
আরো পড়ুনঃ স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি বিষয়ক টিপস
বারান্দায় সারি সারি পাতাগুলি রয়েছে। সর্বস্তরে সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠাতা মুকুল চৌধুরী সবকিছুর ব্যয় বহন করেন। এমনকি এই জায়গাগুলিতে সবকিছু পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেও একমাত্র জিনিস অনুপস্থিত হ'ল বাচ্চা মেয়ে যাকে পিতামাতা বা পিতামহী বলা যেতে পারে। যার জন্য তারা এই সময়টি তীব্র মানসিক যন্ত্রণা এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ব্যয় করে। সেটা হল দাদা-দাদির আকার মত কোন নাতি-নাতনি নেই। আর এ কারণেই তারা যে সময় প্রবল মানসিক যন্ত্রণা এবং ভারাক্রান্ত হৃদয় অতিবাহিত করেন। বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম । বৃদ্ধ বয়সের কারাগার বৃদ্ধাশ্রম
মাতা-পিতার আচরণ সন্তানদের প্রতি
- আপনার প্রয়োজন এবং অনুভূতি একসাথে বা পৃথকভাবে আপনার বাচ্চাদের কাছে জানান।
- কোনও সংকট দেখা দিলে শিশুদের সাথে আলোচনা করুন।
- আলোচনার মাধ্যমে যদি সংকট সমাধান না হয় তবে পরিবারের, বর্ধিত পরিবারের সদস্য বা স্থানীয় রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তা কমিটির সহায়তা নিন।
- পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি একই মনোভাব রাখুন এবং শিশু সহ সকলের সাথে একযোগে থাকার চেষ্টা করুন।
- আপনার নিজের অস্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষার চেষ্টা করুন।
- আপনার ভবিষ্যত রক্ষার জন্য সংরক্ষণ করুন।
- শিশুদের এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং নৈতিক শিক্ষার পরিচয় করিয়ে দিন।
- নিজের শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করুন।
- শিশু যদি তাত্ক্ষণিকভাবে কোনও প্রয়োজন মেটাতে না পারে বা দেরি করে দেয় তবে যতটা সম্ভব ধৈর্য ধরুন।
সন্তানদের মাতা পিতার প্রতি
- পিতামাতাদের সর্বদা সম্মান এবং যত্ন সহকারে চলা উচিত।
- পিতামাতার মতামতকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া দরকার।
- পিতামাতার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় যত্ন, ডায়েট এবং অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা উচিত।
- এটি পিতামাতার নিজস্ব সম্পত্তি ধ্বংস করবে না এবং পিতামাতার আইনী অধিকারকে সমর্থন করবে না।
- পিতামাতার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা কাজে লাগানোর সুযোগগুলি নিশ্চিত করুন।
- আপনার পিতামাতার সংস্থানগুলি নির্বিচারে ব্যবহার করবেন না।
- পিতা-মাতার সম্পত্তিতে অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের অংশ দখলের চেষ্টা করবেন না।
- আপনার পিতামাতার যদি তাদের নিজস্ব সংস্থান না থাকে তবে তাদের দোষ দিবেন না।
- পিতা-মাতা খ্যাতি, মর্যাদা এবং পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রাখতে সচেষ্ট হবে।
- পিতামাতাদের আয় উপার্জনের দক্ষতা অনুযায়ী তাদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং ভবিষ্যতের সুরক্ষার জন্য জরুরি সঞ্চয় সরবরাহ করা হবে।
- পিতামাতার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবে।
আমাদের শেষ কথা
আমাদের শেষ কথা হল আমাদের সবারই যেন কাম্য থাকে যে আমাদের বাবা-মা বৃদ্ধ হয়ে গেলে তাদেরকে বোঝা মনে না করে তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে না পাঠিয়ে দিয়ে তাদেরকে একটু যত্ন একটু ভালোবাসার হাত যেন আমরা বাড়িয়ে দেই। আর যেন কোন বৃদ্ধ বাবা-মায়ের চোখের জলে বৃদ্ধাশ্রম এর প্রতিটি কোনা যেন ভরে না ওঠে । প্রত্যেকটা প্রত্যেকটা বাবা-মায়ের জন্য বৃদ্ধাশ্রম হয়ে ওঠে । প্রত্যেকটা সন্তানের বৃদ্ধ বয়সে তাদের বাবা-মার প্রতি ভালোবাসা থাকে এটাই আমার সবার কাছে কাম্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন