কীভাবে এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করা যায় তার কিছু টিপস
আমাদের কাছে এন্ড্রয়েড ফোনগুলো বড্ড বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই এন্ড্রয়েড হ্যান্ডসেটগুলো দিন দিন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সব দিক দিয়া অনেক বেশি উন্নত হয়ে উঠছে। কিন্তু এই এন্ড্রয়েড হ্যান্ডসেটগুলো একটি বড় সমস্যা হোলো এর ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ সমস্যা । আর এই সমস্যা যেন কোন ভাবেই এড়ানো যাচ্ছে না
আর তাই আমার আজকের এই পোস্ট । আজকে আমি আপনাদের কে এমন কিছু কৌশল শেখাব যাতে করে আপনি কিছুটা হলেও আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারিকে দীর্ঘস্থায়ী করবে। তাহলে চলুন আমরা সেই কৌশল গুল দেখে নেই।
এখনি দেখে আসুন ঃ অক্টোবর ২০২০ সালের সেরা আসন্ন ফোনগুলো
আপনি আপনার ফোনের ব্যাটারিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলে আপনি আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড ডার্ক কালার ব্যাবহার করুন। আর এ পদ্ধতিটি আপনার কাজে দিবে যদি আপনার ফোন এমোলেড স্ক্রিন বিশিষ্ট হয় কারন এমোলেড স্ক্রিন শুধু রঙিন পিক্সেলগুলোকে আলোকিত করে তোলে।
আপনি আপনার ফোনের অ্যাপ গুলোকেও সম্ভব হলে কালো করে রাখুন। আপনি আপনার ফোনের অ্যাপ গুলোকে কালো করতে পারবেন ইউজার ইন্টারফেস অথবা , স্কিন, অথবা থিম সেটিংস এর মাধ্যমে।
আপনার ফোনের অটো ব্রাইটনেস রাখবেন না । কারন এটার জন্যও ব্যাটারি ব্যাকআপ সমস্যা দেখা দেই । তাই যখন দরকার শুধুমাত্র তখনই ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করবেন।তাহলে প্রব্লেম তা অনেকটাই কমবে।
আপনার ফোনের ভাইব্রেশন মোড টা বন্ধ রাখুন।তাহলে আপনার ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করে তুলবে। তবে রাস্তা ঘাঁটে আপনার ফোন ভাইব্রেশন বন্ধ করার আগে ভেবে দেখুন,কারন ভাইব্রেশন বন্ধ করলে কেউ আপনাকে কল বা মেসেজ করলে হয়ত আপনি নোটিফিকেশন টের পাবেন না।
ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী রাখতে সব সময় অরিজিনাল ব্যাটারি ব্যাবহার করার চেষ্টা করুন ।
আপনি আপনার ফোনের ডিসপ্লে লাইটের টাইমআউট কম করে রাখুন। কারন ডিসপ্লে লাইটের টাইমআউট বেশি রাখলে প্রচুর পরিমাণ চার্জ খরচ হয়। একটি রিপোর্টে দেখা গেছে যে একজন ফোন ব্যবহারকারী প্রতিদিন গড়ে ১৫০ বার তার ফোন ডিসপ্লে অন করে থাকেন।
অনেকেই সব সময় নেট অন করে রাখেন। আর এতে করেও আপনার ব্যাটারি ব্যাকআপ সমস্যা হয়। তাই প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় ভাল।
আপনার ফোনের স্মার্ট ফিচারগুলো যেমন স্মার্ট স্ক্রলিং, এয়ার জেশ্চার বন্ধ করে রাখুন। একমাত্র প্রয়োজন হলেই সেগুলো ব্যবহার করলে আপনার ফোনের ব্যাটারি অনেকদিন পর্যন্ত ভাল থাকবে।
শুধুমাত্র দরকার হলেই আপনি ওয়াই ফাই , জিপিএস, এবং এনএফসি অন করুন।আপনি যদি সেসব উইজেডগুল বন্ধ রাখেন বিশেষ করে যেগুলো সব সময় নেটে কানেক্টেড থাকে তাহলে আপনার ব্যাটারির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
আপনি আপনার ব্যাটারি ভাল রাখতে আপডেটেড অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন তার কারন হল সাধারণত নতুন অ্যাপ অপটিমাইজ করা থাকে এতে করে ব্যাটারি আরও কম খরচ হয়।
ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে ফোনে সবসময় ব্যাটারি সেভিং মুড ব্যবহার করুন।
আপনি যদি সারাদিনে মাত্র একবার ইমেইল চেক করে থাকেন তাহলে সব সময়ের জন্য ইমেইল ওপেন করে রাখবেন না।
আপনি গুগল প্লে স্টোর সেটিং পাল্টায়ে ম্যানুয়াল আপডেট করে রাখুন। এতেও আপনার ব্যাটারি অনেক ভাল থাকবে।
আপনি “ওকে গুগল” ভয়েস সার্চ অপশনটি অফ করে রাখুন কারন এটাও অনেক চার্জ নষ্ট করে।
আপনার ফোনে অ্যানিমেশন অফ রাখুন আর আপনার ফোনের লোকেশন সার্ভিসটা বন্ধ রাখুন।
এখন হয়ত আপনার এতোগুলো টিপস পড়ার পর মনে হতে পারে যে স্মার্ট ফোনের এতো কিছু বন্ধ রাখলে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার দরকারটা কী? হ্যাঁ এই প্রশ্ন শুধু আপনার একার নয় । ফোন নির্মাতারাও এর সমাধান বের করার চেষ্টা করছে যাতে করে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো যায়। আর এটার জন্য প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে।
- এন্ড্রয়েড, ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী, ব্যাটারি,
- মোবাইলের কোন ব্যাটারি ভাল,
- ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়,
- স্মার্টফোনের ব্যাটারি, ভালো ব্যাটারি চেনার উপায়,
- ব্যাটারি সমস্যা,
- ফোন ভালো রাখার উপায়,
- ব্যাটারি চার্জ করার নিয়ম, মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম,
very googd information
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন